ফেনী মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৯ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা টু চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার উপর একটি চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী পরিচালনাকালে সন্দেহজনক একটি প্রাইভেটকারকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা আসামী ১। মোঃ কাশেম মাহফুজ (৪৭), পিতা- মৃত ইলিয়াছ, সাং- লতিফপুর, থানা- সীতাকুন্ড এবং ২। মাজারুল ইসলাম (৫০), পিতা- জহুরুল হক, সাং- জামালপুর, থানা- মীরসরাই, উভয় জেলা- চট্টগ্রাম’দ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীদ্বয়’কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে এবং নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে উক্ত প্রাইভেটকারের ড্রাইভিং সীটের নীচে বিশেষ কৌশলে একটি হলুদ রংয়ের শপিং ব্যাগে রক্ষিত অবস্থায় ৪০টি নীল রংয়ের বায়ুরোধক পলি প্যাকেটের ভিতর হতে সর্বমোট ৭,৮৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিকে জব্দ করা হয়।

৩। আটককৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ২৪ লক্ষ টাকা।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।