চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ডাকাতিসহ ০৮ মামলার আসামি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার রিপর@ড্রাম রিপন@ডানু রিপন’কে ফেনী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত আসামি ড্রাম রিপন@ডানু রিপনের নেতৃত্বে ৬/৭ জন মুখোশধারী ডাকাত আইনের লোক পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের ঘরের দরজা খুলতে বলে। তখন ভিকটিমের বৃদ্ধ স্বামী মোঃ শহিদ উল্লাহ ঘরের দরজা খুলতেই মুখোশদারী ডাকাত দলের সদস্যরা জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে এবং বাড়ির লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখে গামছা বেধে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। উক্ত ডাকাতি ঘটনায় ভিকটিম মাজুদা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১, তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৪, জিআর নং ১১/২০২৪ ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৯৬০।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর্ণিত মামলার সন্দিগ্ধ পলাতক আসামি ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন দক্ষিণ চাড়িপুর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ০০৪০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি রিপন @ ড্রাম রিপন@ ডানু রিপন (৩৬), পিতা-মৃত রুহুল আমিন, সাং-পশ্চিম লক্ষীপুর, থানা ও জেলা-লক্ষীপুর’কে নগদ ৯০ হাজার ৫৭০ টাকাসহ লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামালসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি রিপন@ড্রাম রিপন@ডানু রিপন এর বিরুদ্ধে লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র এবং ডাকাতি সংক্রান্তে ০৮টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত অর্থ ও মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে লক্ষীপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।