চান্দগাঁও এলাকা হতে আনুমানিক ০১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০১ জন রোহিংগা আটক

জুতা ফ্যাক্টরির কর্মচারী পরিচয়ের আড়ালে রোহিঙ্গার ইয়াবা ব্যবসা; র‍্যাব-৭, চট্টগ্রামের হাতে মহানগরের চান্দগাঁও এলাকা হতে আনুমানিক ০১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০১ জন রোহিংগা আটক।

১। র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন ০৪ নং ওয়ার্ডের চুনারটাল এলাকার ৪র্থ তলা ভবনের এর ৩য় তলার একটি রুমে মাদক দ্রব্য মজুদ রেখে ক্রয়-বিক্রয় করিতেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ ০৮৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী নুর হোসেন (২১), পিতা- মোহাম্মদ ইসলাম, সাং- মুছুনী ক্যাম্প, আই-বøক-এমআরসি-৬১২৫৪, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, এ/পি- সাজেদা ভবন, থানা- চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম মহানগর’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে নিজ স্বীকারোক্তি ও দেখানো এবং তার ভাড়াকৃত বাসার রুমের ভিতর একটি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে কস্টেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ৯৭,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

৩। গ্রেফতারকৃত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার জাতীয়তাবাদী যে টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাস করত কিন্তু বৈশিষ্ট্যগতভাবে একজন মাদক বিক্রেতা। এছাড়াও সে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে নিজেকে একজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দিয়ে মহানগীরর চান্দগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে সে নিজেকে একজন ধার্মিক মুসলমান বেশে একটি জুতার কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে যেখানে তার আয়ের প্রধান উৎস ছিল মাদক ব্যবসা।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামী আরো জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলা হতে কথিত ইয়াবা সংগ্রহ করে তা চট্টগ্রাম মহানগর এবং চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে। উল্লেখিত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো কক্সবাজার জেলা হতে স্বল্পমূল্যে ক্রয় করে বেশি মুনাফা লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছে বলে অকপটে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৩ কোটি টাকা।

৫। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।