প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎসহ ৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ জাফর আহাম্মদ (৬১) দীর্ঘ ১৯ বছর পলাতক থাকার পর চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকা হতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩১ মার্চ ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ২০৪৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎসহ ৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ জাফর আহাম্মদ (৬১), পিতা-হাজী মফজ্জল আহাম্মদ, সাং-৩১নং বোয়ালখালী মৌজা, থানা-দীঘিনালা, জেলা-খাগড়াছড়ি‘কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে বর্ণিত মামলাসমূহের ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, ধৃত আসামী খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা এলাকায় প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে ছিল। সর্বশেষ সে চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁদগাও আত্মগোপন করে ছিল।
উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানায় প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্মের ০৭টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।