বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার অপহরণ মামলার পলাতক আসামী মোঃ রিফাত হোসেন সামি’কে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানা এলাকা হতে গ্রেফতার সহ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার সাধারণ ডায়রি নং- ৪৭১ তারিখ ০৮ জানুয়ারি ইং এবং বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার মামলা নং-১৭, তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০২০) এর ৭/৩০ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ রিফাত হোসেন সামি চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী খালপাড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১৮১৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিয়ান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রিফাত হোসেন সামি (২২), পিতা-মোঃ খলিদ হাসান প্রকাশ পান্না, সাং-আলতি বুরুজবাড়িয়া, থানা-মোড়েলগঞ্জ জেলা- বাগেরহাট’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্নিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে এবং তারা ভাড়া বাসা হতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে মামলার রুজু হওয়ার পর হতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে ভিকটিমকে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকমল আলী খালপাড় এলকায় আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অপহৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।