চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোহাম্মদ হোসেন মধু’কে নগরীর বায়েজিদ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার মামলা নং-৪, তারিখঃ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোহাম্মদ হোসেন মধু চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১৮৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিয়ান পরিচালনা করে আসামী মোহাম্মদ হোসেন মধু (৪০), পিতা- মোহাম্মদ মান্নান, সাং-বাহির সিগন্যাল, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্নিত মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় পলাতিক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে মামলার রুজু হওয়ার পর হতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীরর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।