বান্দরবান সদর থানার ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি নজু মিয়া’কে দীর্ঘ ১১ বছর দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ফলহারিয়া নেচ্ছাভিটা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

“বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-২৫ জুন ২০১৩,ধারা-৩৯৫/৩৯৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী নজু মিয়া চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ফলহারিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ১৯০৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী নজু মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত শেখ আহম্মদ, সাং-সুখবিলাস, থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১১ বছর চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।