চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রিয়াজ’কে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভুক্তভোগী ভিকটিম (২৭) চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ ধুম গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিমের মানসিক সমস্যার থাকায় গত ৮/৯ বছর পূর্বে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিলে তখন থেকে বর্ণিত ঠিকানায় তার ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করে আসছে। গত ২৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ২২৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের তিব্র মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় এবং অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ২৩০০ ঘটিকায় রিয়াজ এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা মানসিক প্রতিবন্ধী ভিকটিমকে একা পেয়ে মুখ বেঁধে ধুম ইউনিয়নস্থ আনোয়ারের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে হত্যার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে কামড় ও নখের আছড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ভিকটিমের আত্মচিৎকার শুনে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাবী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় ০৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৮ জুলাই ২০২৪ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(৩)।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মোঃ রিয়াজ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন দারোগারহাট বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ১০ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ২২১৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ রিয়াজ (২১), পিতা-মোঃ সিরাজ, সাং-দক্ষিণ ধুম, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।