চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় স্পোর্টস জোনের টার্ফ উদ্বোধনকালে সংঘটিত সংঘর্ষে চাঞ্চল্যকর জুবায়ের হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোঃ তারেক’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভুক্তভোগী ভিকটিম জুবায়ের উদ্দিন বাবু (২৬) চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বাসিন্দা এবং সিটি গেইট এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সন্ধ্যা আনুমানিক ১৮২৫ ঘটিকার সময় চান্দগাঁও থানাধীন পাঠানিয়া গোদা এলাকায় স্পোর্টস জোনের টার্ফ উদ্বোধন উপলক্ষে খেলার আয়োজন করা হয়। ভিকটিম জুবায়ের উদ্দিন বাবু (২৬) উক্ত স্পোর্টস জোনের টার্ফে খেলা দেখার জন্য মাঠ এলাকায় অবস্থান করেন। স্পোর্টস জোনের টার্ফ উদ্বোধন শেষে খেলার শুরুর পূর্ব মূহূর্তে মোঃ তারেক এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা স্পোর্টস জোন এর মালিক পক্ষের সহিত পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্পোর্টস জোনে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে চান্দগাঁও স্পোর্টস জোনের টার্ফে অবস্থান করা মালিক পক্ষ, আয়োজক কমিটির লোকজন সহ সাধারণ দর্শকদের উপর হামলা করে। এসময় ভিকটিম জুবায়ের উদ্দিন বাবু সহ বেশ কয়েকজন সাধারণ দর্শক গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। পরর্বতীতে মাঠে থাকা অন্যান্য দর্শকরা ভিকটিমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় ৪০ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৮, তারিখঃ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৪/৩২৬/৩০২/৩৪, দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ তারেক চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বরিশাল বাজার এলাকার রিয়াজ উদ্দিন সড়কে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক অদ্য ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ০১২০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ তারেক (২৪), পিতা- মোঃ রফিক, সাং- চান্দগাঁও, থানা- চান্দগাঁও, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দঁগাও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।