র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি মোঃ নুরুল আলম @ হোছাইয়া (৭০)’কে দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং এলাকা হতে গ্রেফতার।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ১৯৮৯ সালে ফটিকছড়ি থানাধীন ফতেহাবাদ এলাকায় বাড়ী সংলগ্ন রাস্তা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আসামী মোঃ নুরুল আলম এর পক্ষের এক ব্যক্তি ভিকটিমের ঘাড়ে রামদা দিয়ে কুপ দিলে ভিকটিমের গলা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে প্রতিবেশি লোকজন ভিকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভিকটিম মৃত্যু বরণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৫(০৪)৮৯, ধারা: ৩০২/৩৪ দন্ড বিধি ১৮৬০ পেনাল কোড। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে গত ১৯ মে ২০০৪ তারিখে বর্ণিত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মোঃ নুরুল আলম (৭০)’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/= টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০১ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
৩। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার দীর্ঘ ২০ বছর যাবত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ নুরুল আলম চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানাধীন বেপারীপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৮ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নুরুল আলম (৭০), পিতা- মৃত আব্দুল গণি, সাং-ফতেহপুর, থানা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৪। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১০,০০০/= টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০১ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে ছিল।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।