রাঙ্গামাটি’র বরকল থানায় দায়েরকৃত মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী সিরাজুল ইসলাম’কে দীর্ঘ ২৫ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, রাঙ্গামাটি জেলার বরকল থানার মামলা নং-০৪ তারিখ ২২ জুলাই ১৯৯৮খ্রিঃ, জিআর নং-৩০২/১৯৯৮ এর মূলে দেড় বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সিরাজুল ইসলাম @ সিরাজ মিয়া (৭৩) আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৮ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সিরাজুল ইসলাম @ সিরাজ মিয়া (৭৩), পিতা-মৃত আব্দুল বারেক, সাং-দিবাকুর কুটিছড়া, থানা-বরকল, জেলা-রাঙ্গামাটি’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। পরবরর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে বর্ণিত মামলার দেড় বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে ছিল।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।