র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর পৃথক দুটি অভিযানে ফেনী থেকে ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৩,৯৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক।
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ০৭ ও ০৮ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ফেনী জেলার মহিপাল এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৩৯৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ
ক। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হইতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ ২২:৫০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন মহিপাল এলাকায় ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারকে সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা প্রাইভেটকারটি থামানোর সংকেত দিলে উক্ত প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা প্রাইভেটকারসহ আসামী মোঃ রাশেদ (২০), পিতা- মোঃ নূরুজ্জামান, সাং- পাইনদহ, থানা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর দেখানো ও সনাক্তমতে এবং তার নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে উক্ত প্রাইভেটকারের পিছনের সীটের উপর ০২ টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে মোট ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ক্রয় করে পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
খ। অপর একটি সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন মহিপাল এলাকায় চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর গাড়ীতে উঠার জন্য অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৮ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ ০২:৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সাহাজিদা (৫০), পিতা- মোঃ হানিফ, সাং- নোয়াপাড়া এবং ২। আম্বিয়া(৩২), পিতা- সৈয়দ আলম, সাং- পুরান বল্লোম পাড়া, উভয় থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতর হতে আসামীদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে সর্বমোট ৩,৯৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার পূর্বক আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, ফেনী, ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ টাকা।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে ফেনী জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।